Monday, May 29, 2023

গরম মশলার উপকারিতা

-

প্রাচীন আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে, হজম ক্ষমতার উন্নতিতে গরম মসলা নানাভাবে উপকারে আসে। মসলার এই মিশ্রণটি হজমে সহায়ক পাচক রসের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে বদ-হজম এবং গ্যাস-অম্বলের মতো রোগের প্রকোপ কমে যায়।

গরম মসলা খাবারকে শুধু সুস্বাদুই করে না, শরীরের অনেক উপকারও করে। গবেষণায় দেখা গেছে, কিছু কিছু রোগ প্রতিরোধ করতে গরম মসলার ভূমিকা অসীম।

গরম মসলার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো লবঙ্গ, দারুচিনি, জিরা, জায়ফল, গোলমরিচ, এলাচ ও তেজপাতা।

চলুন দেখে নেই গরম মসলা আমাদের শরীরের কী কী উপকার করে।

ত্বকের লাবণ্য ধরে রাখে

গবেষণায় পাওয়া গেছে, খাবারে গরম মসলার পরিমাণ একটু বেশি হলে কোনো ক্ষতি তো হয়ই না, উল্টো দেহে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রপাটিজের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে শরীর এবং ত্বকের বয়স কমতে শুরু করে। ফলে খাতা-কলমে বয়স বাড়লেও শরীর এবং ত্বকের ওপর তার কোনো প্রভাবই পড়ে না।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে

গরম মসলা দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। ফলে সাধারণ রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে।

অ্যানিমিয়ার প্রকোপ কমে

গরম মসলায় উপস্থিত জিরায় রয়েছে প্রচুর মাত্রায় আয়রন, যা শরীরে প্রবেশ করার পর লোহিত রক্ত কণিকার উৎপাদন এত মাত্রায় বাড়িয়ে দেয় যে রক্তস্বল্পতা দূর হতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটাতেও এই প্রাকৃতিক উপাদানটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

হজম শক্তি বাড়ে

প্রাচীন আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে, হজম ক্ষমতার উন্নতিতে গরম মসলা নানাভাবে উপকারে আসে। মসলার এই মিশ্রণটি হজমে সহায়ক পাচক রসের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে বদ-হজম এবং গ্যাস-অম্বলের মতো রোগের প্রকোপ কমে যায়।

ক্যানসার থেকে দূরে রাখে

গরম মসলা শরীরে ক্যানসার সেলের জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমিয়ে দেয়। মসলায় প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি-ক্যানসার উপাদান রয়েছে। নিউট্রিশন এবং ক্যানসার নামক একটি জার্নালে প্রকাশিত একটি স্টাডি অনুসারে, টানা ১০ দিন গরম মসলা খেলে শরীরে বিষাক্ত উপাদানের মাত্রা কমাতে শুরু করে।

হার্টের ক্ষমতা বাড়ে

গরম মসলা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে কাজ করে। সেই সঙ্গে হার্টে অক্সিজেন-সমৃদ্ধ রক্তের সরবরাহ বাড়িয়ে দেয়। যার কারণে কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ ধারেকাছে ঘেঁষার সুযোগ পায় না।

ডায়াবেটিস দূরে রাখে

গরম মসলায় থাকা দারুচিনি রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। দারুচিনির মধ্যে থাকা একাধিক উপাদান ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। ফলে টাইপ-২ ডায়াবেটিসকে এড়িয়ে যাওয়া যায়। (কালেক্টেড)

Visits:265

Share this article

spot_img

Recent posts

Popular categories

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Recent comments