Monday, May 29, 2023

ঢেকিছাটা চালের গুন

-

সারা বিশ্বের বাঙালির কাছে ভাত প্রিয় খাবার। কিন্তু বাজারে কলে ভাঙানো যে চাল পাওয়া যায়, তা মসৃণ করতে গিয়ে অতিপ্রয়োজনীয় কিছু উপাদান বাদ পড়ে যায়। এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন বি, খনিজ লবণ, বায়োটিন, আমিষ, চর্বি, ফাইটো কেমিক্যাল ও ফাইবার। আরও চলে যায় আয়রন, জিংক, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন এ এবং ই। ফলে কলে ভাঙানো চালের ভাত খেলে এসব উপাদানের অভাব হতে পারে।

তবে ঢেঁকিছাঁটা চালে এসবের ঘাটতি হয় না। এক কাপ ঢেঁকিছাঁটা চালে ৭৮ মিলিগ্রাম ম্যাগনেশিয়াম থাকে। বিপরীতে কলে ভাঙানো চালে থাকে মাত্র ১৯ মিলিগ্রাম। ঢেঁকিছাঁটা চালে পটাশিয়াম থাকে ১৭৪ মিলিগ্রাম, আর কলে ভাঙানো চালে থাকে ৫৫ মিলিগ্রাম। ঢেঁকিছাঁটা চালে ৩ গ্রাম ফাইবারের বিপরীতে কলে ভাঙানো চালে ফাইবার একেবারেই থাকে না। এক কাপ ভাতে আমাদের দৈনন্দিন চাহিদার শতকরা ৮০ ভাগ ম্যাঙ্গানিজ থাকে। ম্যাঙ্গানিজ আমাদের স্নায়ু ও প্রজননতন্ত্রের কার্যক্রমে বিশেষ ভূমিকা রাখে। ঢেঁকিছাঁটা চালে সেলেনিয়াম নামের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান বিদ্যমান, যা হৃদ্‌রোগ, ক্যানসার ও বাতের ঝুঁকি কমায়। গবেষণায় দেখা গেছে, কলে ভাঙানো চালের ভাতের সঙ্গে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের যোগসূত্র রয়েছে। কাজেই সবকিছু বিবেচনায় আমাদের ঢেঁকিছাঁটা চালেই ফেরা উচিত।

আরেকটি মজার বিষয় হলো, গরম ভাতের চেয়ে ঠান্ডা ভাত বেশি উপকারী। ভাত ঠান্ডা হয়ে গেলে তাতে রেজিস্ট্যান্স শ্বেতসার নামের একটি উপাদান তৈরি হয়। এই শ্বেতসার অন্ত্রে কম শোষিত হয়। ফলে বৃহদান্ত্রে এটি গাঁজন প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়।

ঢেকিছাটা চাল কিনতে ভিজিট করুনঃ orbazar.com

Visits:27

Share this article

spot_img

Recent posts

Popular categories

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Recent comments